সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শীর্ষ সন্ত্রাসী হারিজুলের অত্যাচার-নির্যাতনে অসহায় রূপগঞ্জবাসী জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন জিসাস-এর কমিটি গঠন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত সুন্দরবনের জেলে পল্লীতে শুঁটকি মৌসুম শুরুসুন্দরবনের জেলে পল্লীতে শুঁটকি মৌসুম শুরু ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচীতে জয়নুল আবেদীন স্বনামধন্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী শপথ নিলেন ৩ উপদেষ্টা ঈশ্বরগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মামুন এর ঘুষ দুর্নীতি অনিয়ম এর আমলনামা আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব বরগুনার ২৬ সেতুর কাজে স্থবিরতা, জনগণের ভোগান্তি উলিপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
নীলফামারীতে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা

নীলফামারীতে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বামীর বড় ভাইয়ের বড় ছেলে রতন কুমার রায়ের(২৫) বিরুদ্ধে তার কাকি(৩২) কে
ধর্ষনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নীলফামারী ডোমার থানায় মামলা
হয়েছে (মামলা নং-০৯ তারিখ ১৮/০৪/১৯)। সেই সঙ্গে ধর্ষনের সহায়তা করায় এই
মামলায় অপর দুইজনকেও আসামী করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষনের সহায়তাকারী হিসাবে
তাদের গ্রেফতার করলেও মুল ধর্ষনের নায়ক রতন কুমার পলাতক রয়েছে। ধর্ষিতা
ওই কাকী নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার সুত্র মতে, ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায়
ইউনিয়নের বড় দলুয়া কলেজপাড়া গ্রামে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, একই গ্রামের
খরবড়–র ছেলে নরেশ চন্দ্র রায়(৩০) ও কিরেন চন্দ্রের ছেলে জয়দেব রায় (২৭)।
ধর্ষক রতন একই গ্রামের রবীন্দ্রনাথের ছেলে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এরা বখাটে। জানা যায়, ওই নারীর স্বামী কির্তনের জন্য
বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে। ঘটনার দিন বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৭টার
দিকে ওই নারী বাড়ির অদুরে খড়ি কুড়াতে যায়। তাকে একা দেখতে পেয়ে তার মুখ
চেপে ধরে জয়দেব ও নরেশের সহযোগীতায় তার ভাতিজা রতন তাকে ধর্ষন করে ও
শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। বাড়ীতে মাকে না পেয়ে ধর্ষিতার মেয়ে ৭ম
শ্রেনীর ছাত্রী তার মায়ের খোঁজে বের হলে বাঁশঝাড়ের ভিতর তার মায়ের
গঙ্গানীর শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সে স্বচোখে তার মাকে ধর্ষনের
দৃশ্য দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ও লাঠি দিয়ে ধর্ষক রতনকে আঘাত করলে ওরা
তিনজন পালিয়ে যায়।
মেয়েটি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানায়, আমার চোখের সামনে আমরা বড় কাকার ছেলে
রতন আমার মায়ের হাত মুখ বেধে খারাপ কাজ করেছে। আর অপর দুই গ্রামের দুইজন
তাকে সহায়তা করে। আমি তাদের বিচার চাই।
এলাবাসীর অভিযোগ ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়লে ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়াডের ইউপি
সদস্য রেয়াজুল ইসলাম রেয়াজ ঘটনাস্থলে আসে ইউপি মেম্বার ধর্ষক ও ধর্ষনের
সহায়তাকারীদের ডেকে এনে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে বলে। পাশাপাশি
ধর্ষিতাকে মামলা না করার জন্য চাপ দেয়। এ সময় ধর্ষক রতন ক্ষমা না চেয়ে
এলঅকা ছেড়ে চলে যায়। অপর দুইজন ক্ষমা চায়। কিন্তু ধর্ষিতার শারিরক সমস্যা
হলে তাকে এলাকাবাসীর সহায়তার নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে এনে ভর্তি
করা হয়। হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক চিকিৎসা দিতে গিয়ে পরীক্ষা করায়
ধর্ষনের আলামত পায়।
বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর ওই রাতেই
ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমানের নেতৃত্বে অভিয়ান চালিয়ে ধর্ষনের
সহায়তাকারীরা গ্রেফতার হয়। তবে ধর্ষক রতন পলাতক থানায় তাকে গ্রেফতার করতে
পারেনি।
ডোমার থানা ওসি ধর্ষনের মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,রাতেই ধর্ষনে
সহায়তাকারী দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী রতনকে গ্রেফতারের
চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার বিকালে আটককৃত দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা
কারাগারে প্রেরন করা হয়। বাদী হয়ে মামলা করেছে ধষিতা নারীর বাবা।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com